বাকেরগঞ্জবাসীর আতংক ফিরোজ আলম গৃহহীন পরিবারের সংবাদ সম্মেলন Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বাকেরগঞ্জবাসীর আতংক ফিরোজ আলম গৃহহীন পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

বাকেরগঞ্জবাসীর আতংক ফিরোজ আলম গৃহহীন পরিবারের সংবাদ সম্মেলন




নিজস্ব প্রতিবেদক :  ভয়ংকর ত্রাসে রুপ নিয়েছে বাকেরগঞ্জ মহেশপুরের ফিরোজ আলম। তার বেপরোয়া ত্রাসে অতিষ্ট স্থানীয় জনতা। দখল সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-কন্ট্রাক হামলা-মাদক কারবার সবই হয় তার রাজ্যে। থানায় ১২টি মামলা থাকার পরেও থামছে না ফিরোজ আলমের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। ভয়ে সব সময় পিছু হটেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরাও। সোমবার শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে মহেশ পুরের গৃহহীন রেদওয়ানা ইয়াসমিন রিমু ও জেলান হাওলাদারের পরিবারের সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে ফিরোজ আলমের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের খবর। রেদওয়ানা ইয়াসমিন রিমু জানান,ফিরোজ আলম তার আপন চাচা। পিতার মৃত্যুর পর একমাত্র প্রতিবন্ধী ভাই ও বিধবা মা’কে নিয়ে অনেকটা টানাপোড়েনের মধ্যে সংসার চলে। অভিবাবক বা মুরব্বী বলতে ছিলো আপন চাচা ফিরোজ আলম ও লিটন হাং।

কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে এই দুই চাচা আমাদেরকে পারিবারিক ভাবে নিরব অত্যাচার শুরু করে। বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তিও তারা ভোগ দখল শুরু করে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি ওই রিমু আরো বলেন,‘আমি তখন সাবালিকা একটি মেয়ে। চাচারা পাত্র দেখে আমাকে বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোন গুরুত্ব দিত না। পরক্ষণে ২০০৯ সালে একই বাড়ির ওপরে জেলান হাওলাদারের সাথে আমার বিয়ে হয়। তখন আমার চাচা ফিরোজ আলম আমার ভালো সহ্য করতে না পেরে আমার পরিবারকে সাকাল বিকাল মারধর করতে থাকে। ওই দুই চাচা মহেশপুরের প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসী হওয়ায় এলাকার জনপ্রতিনিধিরাও কোন সুরাহা করতে পারেনি। পরে আমার স্বামিকে নিয়ে অনত্র ভাড়া থাকি।

সে সুযোগে আমাকে অপহরন করা হয়েছে বলে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে স্বামিকে নিয়ে দুরে চলে যাই। আর আমার মা’ চলে যায় নানা বাড়ি। একই সাথে আমার স্বামি জেলান হাওলাদার’র পিতা মাতাও বাড়ি ছেড়ে চলে যায়’। পরে মামলার ঝামেলা শেষ করে বাবার ভিটে মাটিতে ফিরতে চাইলেও আপন চাচা ফিরোজ আলম ও লিটন হাং বাড়িতে প্রবেশ করতে করতে পারছে না বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগি নারী। এমনকি বাবার রেখে যাওয়া ক্রয়কৃত মহেশপুর বাজারের ৭টি স্টলের ভাড়া এবং ৪৫ কড়া জমিসহ সব কিছুই তারা ভোগ করছে। আর ওই পরিবার অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকছেন। পাশাপাশি তার স্বামি জেলান হাওলাদারকেও বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে চাচা ফিরোজ আলমের প্রভাবে থানায় মামলা নিচ্ছে না অভিযোগ রিমুর। তিনি প্রশাসনের সহযোগিতায় পিতা-মাতার ভিটে মাটিতে ফিরতে চাচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে জানান দেন। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুম মাস্টার ও মেম্বর পিন্টু হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, ভূক্তভোগি পরিবারের অভিযোগ সত্য। প্রায় একযুগ যাবৎ তারা গৃহহীন হয়ে আছে। একাদিক বার চেষ্টা করেও কোন সুরাহা করতে পারিনি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD